নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এর লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগর লতাসহ জীবন বৈচিত্র্য রক্ষার লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ এপ্রিল দুপুরে কউক সভা কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতা রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি জানান, জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সী-বীচে ওয়াটার বাইক বন্ধ করার প্রয়োজন। তাছাড়া তিনি লাল কাকড়া সংরক্ষনের জন্য কবিতা চত্বর হতে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত ঘেরা দেয়ার অনুরোধ জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, মাদারবনিয়া, উত্তর সোনারপাড়া এবং দরিয়ানগর এলাকায় কচ্ছপ প্রজনন করে থাকে বিধায় এ এলাকাকে কচ্ছপ জোনসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জোন হিসেবে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া ইনানী ও শুটকি পল্লীতে লাল কাকড়া উৎপাদন করে বীচে ছেড়ে দেয়ার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান।
বন বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, আমাদের ইতোমধ্যে ৭০ হেক্টর জমিতে ৬০ হাজার ঝাউগাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। খুবই শীঘ্রই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, বিজিবি রেস্ট হাউজ হতে কলাতলী বীচ পর্যন্ত সাগর লতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য দরিয়ানগর ও পেচারদ্বীপ এলাকায় বৃহৎ আকারে আলাদা জোন করা হবে বলে জানান।
সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কক্সবাজার পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বন বিভাগ, পর্যটন কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতাসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
সভায় মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, সদস্য (প্রকৗশল), কউক; আবু জাফর রাশেদ, সচিব (উপ সচিব), কউক; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি, কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিনিধি, বন বিভাগের প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: